নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ‘শিক্ষাশালা’ নামের কোচিং সেন্টারে ধর্ষণের শিকার এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঘুমের ওষুধ খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার বাবা চান্দগাঁও থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
চান্দঁগাও থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, ঘুমের ওষুধ কেন খেয়ে সেটা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। ভিকটিম যেহেতু অসুস্থ অবস্থায় মারা গেছে, যার কারণে তার জবানবন্দি পাওয়া যায়নি। তার বাবার দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত হামিদ মোস্তফা জিসান নামের ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। একদিনের রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই শিক্ষার্থী কয়েকমাস ধরে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ১১ নম্বর রোডের কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ে আসছে ওই শিক্ষার্থী। এই সুযোগে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক জিসান তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর কোচিং সেন্টারের ভেতরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় আপত্তিকর অবস্থায় ছবিও ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তার সাথে কয়েক দফায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থবোধ করলে তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা অন্তঃসত্ত্বা বলে জানান।