সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার মেডিকেল স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণার পর দুই-তৃতীয়াংশ আবাসিক ও ইন্টার্ন চিকিৎসক প্রতিবাদে পথে নামে। কিন্তু সোমবার পূর্ব এশিয়ার দেশটির সরকার বিক্ষোভরত তরুণ ডাক্তারদের ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজে ফেরার আলটিমেটাম দিয়েছে। অন্যথায় এর গুরুতর ফল তাদের ভোগ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

সরকার বলছে, ইন্টার্ন ও আবাসিক ডাক্তারদের কর্মবিরতীর ফলে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাই তাদের ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ কাজে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মেডিক্যাল স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তি ছিল- দেশে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বাড়ছে এবং সেজন্য বেশি ডাক্তারের প্রয়োজন হবে।

নিরাপত্তা মন্ত্রী লি সাং-মিন পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ছে বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘‘পরিস্থিতির গভীরতা বিবেচনা করে সরকার তাদের কাছে শেষ আবেদন করছে। যদি ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজে ফেরেন, তাহলে এখন পর্যন্ত যে পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে তার জন্য আপনাদের দায়ী করা হবে না।”

তিনি বলেন, রোগীদের পাশে থাকলে, আন্দোলনকারীদের কথা শোনা হবে। অন্যথায় মেডিক্যাল লাইসেন্স তিন মাসের স্থগিত করা হতে পারে বলে জানা গেছে। এদিকে, সিনিয়র ডাক্তার ও প্রাইভেট প্র্যাকটিশনাররা ওয়াকআউটে যোগ না দিলেও তারা সরকারের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সমাবেশ করেছে।

তবে দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এই উদ্যোগকে সমর্থন করেছে। একটি সাম্প্রতিক জরিপে এই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এই প্রস্তাবের নেতৃত্ব দেন। এর লক্ষ্য চিকিৎসা শিক্ষার প্রসার, পরিষেবা উন্নত করা এবং ডাক্তারদের উদ্বুদ্ধ করা।

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমালোচকদের যুক্তি হলো, সরকারের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক। বিশেষ করে সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে চিকিৎসা ব্যবস্থায়। সূত্র: ডয়চে ভেলে। মৃমৃ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *