ব্রাজিলকে কাঁদিয়ে প্যারিস অলিম্পিকের টিকিট নিশ্চিত করল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে, দারুণ শুরুর পরেও ছিটকে পড়ল অলিম্পক আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।
প্যারিস অলিম্পিকে খেলতে হলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচটি জিততেই হতো আর্জেন্টিনাকে। অবশেষে সেই কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দিলেন ফরোয়ার্ড লুসিয়ানো গুন্দো।
ঘড়ির কাঁটায় ম্যাচের বাকি তখন মাত্র ২২ মিনিট। আর্জেন্টিনা শিবিরে তখন গভীর উদ্বেগ। কেননা, দীর্ঘ ৭৮ মিনিট ব্রাজিল রক্ষণভাগ যেভাবে আগলে রেখেছে, তাতে অলিম্পিকে যাওয়ার দৌড়ে তারাই এগিয়ে থাকার কথা।
কিন্তু হঠাৎ ডিবক্সের অনেকটা বাইরে থেকে একটি মাপা ক্রস শট নিলেন ব্রাইটনে খেলা আর্জেন্টাইন তরুণ ভ্যালেন্টিন বার্কো। অনেকটা দৌড়ে এসে তাতে মাথা ছোঁয়ালেন ফরোয়ার্ড লুসিয়ানো গুন্দো। তাতেই ভাঙল ব্রাজিলের রক্ষণ। আর ওই ৭৮তম মিনিটের গোলটাই আর্জেন্টিনাকে এনে দেয় প্যারিস অলিম্পিকের টিকিট।
অন্যদিকে ম্যাচটি ড্র হলেও আশা বাঁচিয়ে রাখতে পারত ব্রাজিল। ভেনেজুয়েলার মাঠে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচের মাহাত্ম্য তাই কোনওভাবেই কম ছিল না। মর্যাদার এই ম্যাচে জয়ের মধ্য দিয়ে তিন ম্যাচে ৫ পয়েন্ট পায় আর্জেন্টিনা। আর তাতেই নিশ্চিত হয় প্যারিসের টিকিট। তাদের সঙ্গী হচ্ছে প্যারাগুয়ে।
ব্রাজিল দারুণ শুরু করলেও ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময়েই আধিপত্য দেখিয়েছে আর্জেন্টাইন তরুণরা। ১৫ মিনিটেই গোল পেতে পারত তারা। অধিনায়ক থিয়াগো আলমাদার দুর্দান্ত ফ্রি-কিক গোলবারে লেগে ফিরে এলে হতাশ হতে হয় আর্জেন্টিনাকে। এর আগ পর্যন্ত কোনও সুযোগই করা হয়নি ব্রাজিলের। ১৮ মিনিটে তারা প্রথম শট নেয় গোলমুখে। যদিও সেটি টার্গেটে ছিল না।
ব্রাজিল ম্যাচের সেরা সুযোগ পেয়েছে ৬০ এবং ৬২ মিনিটে। প্রথম গ্যাব্রিয়েল পেককে হতাশ করেছেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক ব্রেই। দুর্দান্ত সেভে সুরক্ষিত রাখেন আর্জেন্টিনার অলিম্পিক খেলার স্বপ্ন। মিনিট দুয়েক পরেই জন কেনেডিকেও হতাশ করেন তিনি।
পুরো ম্যাচে আর্জেন্টিনার আধিপত্য চোখে পড়ার মতো। হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানোর আর্জেন্টিনা বল দখলে রাখে ৬১ শতাংশ এবং শট নেয় ১৪টি। ধারাবাহিকতার সুবাদেই ৭৮ মিনিটে পেয়ে যায় মহামূল্যবান সেই গোল। তাতেই বাদ পড়েছে অলিম্পিকের বর্তমান স্বর্ণপদক পাওয়া দলটি। ২০১৬ ও ২০২০ অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতেছিল ব্রাজিল।