ভারতের গুজরাটে স্কুলছাত্রদের নিয়ে পিকনিকে যাওয়ার সময় নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১২ শিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষক রয়েছেন। নৌকাটিতে ২৭ জনের মতো মানুষ ছিলেন। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের।


বৃহস্পতিবার বিকালে ভারোদা শহরের হার্নি লেকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঘাবি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গুজরাটের পুলিশ জানিয়েছিল নৌকাডুবির ঘটনায় ১৬ জন নিহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নৌকাটিতে প্রায় ২৭ জন ছিল, বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা চলমান আছে। এ প্রচেষ্টায় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় দুর্যোগ কর্মকর্তারা একযোগে কাজ করছেন।

কীভাবে নৌকাডুবির এ ঘটনাটি ঘটেছে তা পরিষ্কার হয়নি। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত মানুষ ওঠায় নৌকাটি ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশ কমিশনার অনুপম সিং গেহলত বিবিসিকে জানিয়েছেন, পানি থেকে এ পর্যন্ত সাতজনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি জানান, সবাই বারোদার এক স্কুলের শিক্ষার্থী। তাদের সবার বয়স সাত থেকে ১৩ বছরের মধ্যে। নৌকায় ওঠার পর তাদের কাউকেই লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়নি।

বারোদা গুজরাটের প্রধান শহর আহমেদাবাদ থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সামাজিক মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) এ পোস্ট করা এক বার্তায় শিক্ষার্থীদের মৃত্যুতে ‘গভীর শোক’ প্রকাশ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *